গল্ফ তার প্রিয় খেলা। বিনোদনের জন্য তিনি প্রায়ই চলে যান ভার্জিনিয়ায় গল্ফ কোর্সে। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার হয়ত নির্বাচনের উদ্বেগ কাটাতেই তিনি হাতে তুলেছিলেন গল্ফের ছড়ি।
গাঢ় রঙের জ্যাকেট, কালো ট্রাউজার, সাদা টুপি পরা ট্রাম্প একের পর এক হারের খবর আসতে থাকার মধ্যেও ‘জয়ের শেষ হাসি হাসা’র আস্থা দেখিয়েই ছড়ি দিয়ে বল মারছিলেন। তবে তার আশেপাশে কাজ করা লোকজনের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে উদ্বেগ।
হোয়াইট হাউসও যেন নির্বাচন শুরু পর থেকে ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। ওয়েস্ট উইং ছিল খালি। বেশ কয়েকজন স্টাফ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেকারণেও তারা উপস্থিত ছিলেন না। আরও অনেকে ছিলেন কোয়ারেন্টিনে।
আর প্রেসিডেন্ট গল্ফ ক্লাবে থাকার সময় বিবিসি-সহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ নেটওয়ারর্কগুলো বাইডেনের জয়ে খবর প্রচার করেছে। কিন্তু ট্রাম্পের গল্ফ ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কোনও তাড়া দেখা যায়নি। অনেকটা সময় পার করে পরে তিনি বাড়ির পথ ধরেন।
শেষে হোয়াইট হাউজে পৌঁছে একপাশের একটি দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে যান ট্রাম্প। যে পথে সাধারণত প্রেসিডেন্টরা ঢোকেন না। তার কাঁধ ঝুলে পড়েছিল, মাথা হয়েছিল হেঁট। আশেপাশের লোকজনদের সঙ্গে স্বভাবসুলভ আচরণ করতে দেখা যায়নি তাকে।
৭ নভেম্বর দিনের শুরুতে ট্রাম্প অবৈধ ভোট সংগ্রহের অভিযোগ করে টুইট করেছিলেন। আর বিকালে সংবাদ মাধ্যমগুলো যখন বাইডেনের জয়ের খবর দিচ্ছে তখনও ট্রাম্প টুইটে বড় বড় হরফে লিখে দাবি করে গেছেন, “আমি নির্বাচনে জিতেছি।”