শনিবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বেডুয়েট হলে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরিন করিম।
ছেলেদের একক ইভেন্টে চার রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার আরব ডি শাহ ২৮৪ (৪ আন্ডার পার) শট খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২৮৬ (২ আন্ডার পার) শট খেলে রানারআপ হয়েছেন নেপালের সুবাস তামাং। তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশে শফিকুল ইসলাম। তিনি খেলেছেন ২৯০ (২ ওভার পার) শট।
মেয়েদের একক ইভেন্টে দুই রাউন্ডে বাংলাদেশের সোনিয়া আক্তার ১৫২ (৮ ওভার পার) শট খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পাকিস্তানের সানিয়া ওসামা ১৫৬ (১২ ওভার পার) শট খেলে রানারআপ হয়েছেন। তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের গলফার নাসিমা আক্তার। তিনি খেলেছেন ১৬৩ (১৯ ওভার পার) শট।
ছেলেদের দলগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন নেপাল (সুবাস তামাং ও সাদভব আচর্য) এবং রানার্সআপ বাংলাদেশ ‘বি’ দল (লিটন মন্ডল ও শফিকুল ইসলাম)। তৃতীয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল (সাহাবুদ্দিন ও মোহাম্মদ সুমন)।
মেয়েদের দলগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ (সোনিয়া আক্তার ও নাসিমা আক্তার) এবং রানার্সআপ পাকিস্তান (আবিহা হামিন সৈয়দ ও সানিয়া ওসামা)। তৃতীয় হয়েছে নেপাল (সুশমা সিজেল ও তারা কার্কি)।
চ্যাম্পিয়ন আরব ডি শাহ বলেন, ‘এটি আমার গলফ ক্যারিয়ারে সেরা অর্জন। বাংলাদেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমি খুবই খুশি। আজকের দিনটি আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তৃতীয় রাউন্ড শেষে আমি সুবাসের (নেপালের গলফার) চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম। যদিও অনেক বেশি চাপ ছিল কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। ব্যাক-নাইনে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জিততে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
রানারআপ সুবাস তামাং বলেন, ‘আমি এগিয়ে থেকেও শিরোপা জিততে পারিনি। আজকের দিনটা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। তবে দলগতভাবে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সব মিলেই ভালোই লাগছে।’
মেয়েদের এককে চ্যাম্পিয়ন সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। অনেক কষ্টের পর চ্যাম্পিয়ন হলাম। এটা আমার জন্য যেমন গর্বের, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও। আজ শুরু থেকে অনেক ভালো খেলছিলাম, যদিও শেষ দিকে কিছুটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। তারপরও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সত্যিই আমি খুব রোমাঞ্চিত।’